Economics (অর্থনীতি) Subject Review 💕
Economics Subject Review 💕
বাংলাদেশে Economics কে mainly Social Science faculty এর subject হিসেবে ধরা হয়।তবে বাইরের দেশে Economics সাইন্স faculty এর subject হিসেবেই বেশি পরিচিত।বাংলাদেশেও কিছু কিছু ভার্সিটিতে Economics কে science এর subject হিসেবে ধরা হয়।Public varsity এর মধ্যে Ju তে Economics কে সাইন্স হিসেবে ধরা হয়।এছাড়াও অনেকগুলো স্বনামধন্য প্রাইভেট ভার্সিটিতে Economics সাইন্স faculty এর সাবজেক্ট হিসেবেই রয়েছে।
আমাদের চারপাশের সীমিত সম্পদের কিভাবে সর্বোচ্চ ব্যবহার করা যায় অর্থনীতি তা নিয়ে আলোচনা করে।অর্থনীতিকে বলা হয় Royal Subject।বর্তমান পৃথিবী যদি কোনো ধাঁধা হয় তবে তার উত্তর হলো অর্থনীতি।আসলে অর্থনীতিতে সমাজবিজ্ঞান আর বিজ্ঞানের সংমিশ্রণ ঘটেছে। আর ব্যবসায় প্রশাসনতো খোদ অর্থনীতির কোলেই বেড়ে ওঠেছে।
অর্থনীতি সাবজেক্ট রিভিউ
অর্থনীতি এমন এক বিজ্ঞান যার গবেষণাগার গোটা পৃথিবী অর্থনীতির গেম থিওরি এতটাই মূল্যবান এবং গুরুত্বপূর্ণ তত্ত্ব যে এটা নিয়ে মনোবিজ্ঞান থেকে শুরু করে হালের কম্পিউটার সায়েন্সের বিজ্ঞানীরাও নিজেদের ক্ষেত্রে এটাকে কাজে লাগাচ্ছেন।এখানেই অর্থনীতির শ্রেষ্ঠত্ব।
কেমন বিষয় অর্থনীতি ?
Ans : বিএ,বিএসএস বা বিএসসির একটি প্রথম সারির বিষয় অর্থনীতি | আমাদের দেশে পাবলিক ভার্সিটিতে যারা ভর্তি পরীক্ষায় প্রথমদিকে থাকে তারা আইনের পর অর্থনীতি নিয়ে থাকে |
কেন পড়বেন অর্থনীতি ?
আমার ভাষায় নয় S@ifur's এর চেয়ারম্যান সাইফুর স্যারের ভাষায়""তুমি কেন কষ্ট করে আইন পড়ে ম্যাজিস্ট্রেট হবা| তুমি বিসিএস পাশ কর|সরকার তোমাকে আইন শিখাবে| তুমি অর্থনীতি নাও|বিসিএস,ব্যাংক জব থেকে শুরু করে নোবেল পুরষ্কার পর্যন্ত যেতে পারবা| কারন বাঙালি যারা নোবেল পেয়েছে অর্থনীতি থেকেই পেয়েছে|উন্নয়নশীল দেশগুলোই অর্থনৈতিক গবেষণার জন্য উপযোগী|""
অর্থনীতি পড়ে চাকরিক্ষেত্র কি কি ?
বাংলাদেশে ব্যংকিংএ অর্থনীতিকে খুব গুরুত্ব দেয়া হয়|| বর্তমান বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর থেকে BIBM (Bangladesh Institute Bank Management) এর মহাপরিচালক,কয়েকজন সহকারী পরিচালক সবাই অর্থনীতির ছাত্র ছিলেন|
সাংবাদিকতার একটি বড় অংশ অর্থনৈতিক অবস্থা পর্যালোচনা তাই সাংবাদিকতা না পড়েও আপনি এই পেশা গড়তে পারেন বিসিএসে অর্থনীতি,পরিসংখ্যানে প্রতিবার ৫০ টির মত সিট থাকে, যা শুধু আপনার জন্য |
আপনি পরামর্শক হিসেবে যোগ দিতে পারেন শেয়ারবাজার,বিশ্ববাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান,ইনস্যুরেন্স,মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে,রিয়েল এস্টেট,যে কোন ধরনের শিল্প কারখানায়,ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে| পরামর্শক হিসেবে ব্যবস্থাপককে লাভের সহজ উপায় দেখিয়ে দেয়া,মজুরি নির্ধারন এবং লাভ ক্ষতির সম্ভাব্যতা বের করা অর্থনীতিবিদের কাজ|
প্রাইভেট কোম্পানি : এগুলোতে অর্থনীতিবিদগণ ব্যবস্থাপক হিসেবে কাজ করে থাকেন|বাংলাদেশের সকল দূতাবাসে অর্থনীতিবিদগন কাজ করে থাকেন| বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক অবস্থা পর্যবেক্ষন তাদের কাজ|সরকারের
আয়কর,অর্থনৈতিক উন্নয়ন ,বাজেটের নীতিনির্ধারন সবই অর্থনীতিবিদের কাজ|
দেশের প্রায় সকল সরকারী বেসরকারী কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি আছে| তাই একজন অর্থনীতি ছাত্রের সর্বনিম্ন সুযোগ এসবে শিক্ষকতা করা|মোটকথা যতদিন মানুষের জীবন থাকবে ততদিন অর্থের চাহিদা থাকবে| আর ততদিন অর্থনীতির চাহিদা থাকবে সকল কর্মক্ষেত্রে যেখানে অর্থ আছে।
আগে সব সাবজেক্ট থেকে ব্যাংক এবং অন্যান্য ফাইন্যান্সিয়াল প্রতিষ্ঠানে এপ্লাই করা গেলেও এখন অনেক জায়গায়ই উল্লেখ করে দেয়া হয় শুধু বিবিএ এবং অর্থনীতি গ্র্যাজুয়েটদের জন্য।
**প্রথমেই বলছি Economics এর শিক্ষার্থীদের জন্য আছে বিসিএস এ কোঠা দিয়ে পরিসংখ্যান ভবনের মতো জায়গায় ক্যাডার হওয়ার সুযোগ।বিসিএসের শিক্ষা ক্যাডারে গড়ে ৫০টা সিট থাকে Economics এর শিক্ষার্থীদের জন্য।এছাড়া অন্যান্য ক্যাডারেও চলে Economics এর রাজত্ব।
**World Bank এর এদেশীয় শাখা থেকে শুরু করে যেকোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠানে Economics কে খুবই prefer করা হয়।
**যেকোনো কম্পানির ম্যানেজমেন্টে ৪-৫ বছরের অভিজ্ঞতায় ৮০ হাজার+ salary হওয়া Economics এর শিক্ষার্থীদের জন্য স্বাভাবিক ব্যাপার!
**Public এবং Private সকল ভার্সিটিতেই Economics department রয়েছে।ভাল রেজাল্ট ধারীদের জন্য faculty হিসেবে সেখানে join করাটা সময়ের ব্যাপার মাত্র।
**এছাড়া Economics থেকে আছে UN অর্থাৎ জাতিসংঘ কিংবা অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থায় চাকুরি করার সুযোগ।
**Economist বা অর্থনীতিবিদরাই একটি দেশের অর্থনীতির প্রধান পথপ্রদর্শক।চেষ্টা থাকলে তুমিও হয়ে উঠতে পার একজন বিখ্যাত Economist। এই সুযোগ শুধুমাত্র Economics শিক্ষার্থীদের জন্যই বরাদ্দ।
Concusion : পরিশেষে বলবো,Economics পড়া সসমাজবিজ্ঞান বিভাগ এর অন্যন্য বিষয়ের চেয়ে তুলনামূলকভাবে কিছুটা কঠিন হলেও উজ্জ্বল ক্যারিয়ার গড়ার লক্ষ্যে Economics ই হতে পারে তোমাদের প্রথম চয়েজ।
কার্টেসি : রিদয়, অর্থনীতি,
সরকারী বাঙলা কলেজ। ঢাবি অধিভুক্ত (২০১৭-১৮)
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে আলোচিত অংশ।