law subject review। আইন সাবজেক্ট রিভিউ

আইন সাবজেক্ট রিভিউ
আইন সাবজেক্ট কেন পড়বেন?
আসলে আইনে পড়ার সুযোগ সুবিধার কথা জানলে আপনি এই প্রশ্নটা কখনই করবেন না। যাদের আইন বিষয় কিছুটা কম জানা আছে তারা এই পোস্ট দ্বারা কিছুটা উপকৃত হবেন বলে আশা করছি। সকল দিক থেকে আইনের মূল্যায়ন।
দেশের নাগরিক হিসেবে :
আইনজীবীরা দেশের প্রথম শ্রেণির নাগরিক! - বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্ট
পদবির দিক থেকে
নামের আগে বিচারপতি, অ্যাটর্নি জেনারেল, অধ্যাপক (আইন), ব্যারিস্টার, অ্যাডভোকেট পদবিগুলো দেখতে কার না ভালো লাগে? এ পদবিগুলো যতটা আকর্ষণীয় এগুলো অর্জন করা ততটা সাধনার ব্যাপার। আর আপনি এসব পদবি কখনই পাবেন না, যদি না আপনি আইনের ছাত্র না হোন।
আইন বিষয়ভিত্তিক পেশা
আইন একটি মুক্ত পেশা। এখানে রাজ্যের স্বাধীনতা। নিজের পছন্দ অনুযায়ী ক্ষেত্র নিয়ে কাজ করা যায়। তবে এ পেশায় সামাজিক দায়বদ্ধতা অন্যান্য পেশার থেকে অনেক বেশি। যেমনি দায়বদ্ধতা রয়েছে তেমনি রয়েছে নিজেকে প্রমান করার অনেক সুযোগও।আইনভিত্তিক বিভিন্ন পেশা,যেমন:
- (i) ব্যারিস্টার
- (ii) জাজ
- (iii) সাধারন আইনজীবী
- (iv) লিগাল এডভাইজার (কোম্পানি, ব্যাংক, মার্কেটসহো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান)
- (v) জাজ এডভোকেট জেনারেল (মার্শান আইন)
- (vi) শিক্ষক (বিশ্ববিদ্যালয় ও ল' কলেজ)
আইন পেশায় সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ
বর্তমানে তরুণ প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের পছন্দক্রমের শীর্ষে উঠে এসেছে আইন বিষয়ে পড়ালেখা। মেধাবীরাই আইনে পড়তে আসছে। বিসিএস ও অন্য যে কোনো নন ক্যাডারের চাকরি, ব্যাংক, স্বায়ত্তশাসিত ও বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানে চাকরির ক্ষেত্রে আইনের ছাত্রদের অন্য ব্যাকগ্রাউন্ডের শিক্ষার্থীদের মতো সমান সুযোগ রয়েছে।
আইন বিষয়ে স্কলারশিপ
আইন পেশায় উচ্চতর ডিগ্রী নেয়ার জন্য বাংলাদেশের স্বীকৃতকোনো বিশ্ববিদ্যালয় অথবা আর্ন্তজাতিক সংস্থা যেমন- সার্ক, কমনওয়েলথ, আইডিবি, ব্রিটিশ কাউন্সিল থেকে স্কলারশিপ নিয়ে লন্ডনে ব্রিটিশ কাউন্সিলে বার-এট-ল অর্থাৎ ব্যারিস্টারি করা যেতে পারে। ব্যারিস্টারি করতে হলে লন্ডন বার কাউন্সিলের সনদ নিতে হবে। স্কলারশিপের জন্য জাতীয় অথবা আর্ন্তজাতিক স্কলারশিপ (বৃত্তি) অফিসে যোগাযোগ করতে হবে।
Law subject review
আইনজীবীর সম্মান ও বেতন
আইন একটি মুক্ত পেশা। এখানে রাজ্যের স্বাধীনতা। নিজের পছন্দ অনুযায়ী ক্ষেত্র নিয়ে কাজ করা যায়। তবে এ পেশায় সামাজিক দায়বদ্ধতা অন্যান্য পেশার চেয়ে অনেক বেশি। তবে একজন আইনজীবী বার কাউন্সিল থেকে প্রণীত আচরণবিধি মেনে চলতে হবে। তা না হলে তার বার কাউন্সিল সনদ বাতিল হয়ে যেতে পারে! আয়- রোজগারআইন পেশাটা পুরোই আপনার কাজের ওপর নির্ভর করবে। কাজ বলতে মেধা এবং অভিজ্ঞতা।
আপনি এখানে যতই মাথা খাটাতে পারবেন ততই ভালো একটা অ্যামাউন্ট পকেটে পুরতে পারবেন। তাছাড়া জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বা সহকারী জজ পদে নিয়োগ পেলে সর্বোচ্চ সম্মান, রাজ্যের সুবিধাসহ ভালো অঙ্কের বেতন তো আছেই। তবে আইনজীবী হলে আয়-রোজগারের বিষয়টি অভিজ্ঞতা, ব্যক্তিগত দক্ষতা, সামাজিক যোগাযোগ ও মামলার ধরনের ওপর নির্ভর করে।
হাইকোর্ট অথবা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীদের মাসিক আয় মামলার ধরন অনুযায়ী ৬০ হাজার থেকে ৭ লাখ টাকা পর্যন্ত। আইন পেশায় সদ্য যোগদানকারীরা ভালো টাকা আয় করতে পারেন মাথা খাটিয়ে। একজন নতুন আইনজীবী সাধারণত ৩০-৩৫ হাজার টাকার ওপর আয় করতে পারেন অনায়াসে। মানুষের পাশে বাংলাদেশে যতগুলো আত্মনির্ভরকেন্দ্রিক পেশার দেখা মেলে তার মধ্যে আইন পেশাই সর্বজন পরিচিত এবং গুরুত্বপূর্ণ একটি পেশা।
এ পেশায় এসে আপনি যেমন অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারবেন, তেমনি সমাজে সবার কাছে নিজেকে উপস্থাপন করার সুযোগ পাবেন। তাছাড়া সম্মান এবং সুনিশ্চিত ভবিষ্যতের জন্য বর্তমান সময়ে আইন পেশার প্রতি সবার আগ্রহ আরও বেড়েই চলছে। এই পেশার সুযোগ প্রতিনিয়ত নতুন নতুন মাত্রা ও সম্ভাবনা যোগ করছে। প্রাচীন আমল থেকেই আইনজীবীদের দেখা হয় মর্যাদার চোখে।
এক সময় এ পেশায় ছেলেরা এলেও সেই দেয়াল আরও আগেই ভেঙে গেছে। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে মেয়েরা এখন বেশ ভালোভাবেই নিচ্ছেন এ পেশা। আপনিও পারেন আইন পেশায় এসে সফল ক্যারিয়ার গড়তে। এর জন্য প্রস্তুতিটা শুরু করুন আজ থেকে আইনের ছাত্র হওয়ার মাধ্যমেই।
সাবজেক্ট রিভিউ আইন

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আইন পেশা
আমাদের দেশে ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার প্রধান পেশা হিসেবে নিলেও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আইন ই হচ্ছে সর্বোচ্চ পেশা। ইংল্যান্ড, আমেরিকা, রাশিয়া আরো যত বিখ্যাত দেশ আছে, এসব দেশে আইন কেই সর্বোচ্চ পেশা হিসেবে গণনা করে। এমনকি বাংলাদেশেও আইনের প্রতি সকল শ্রেণির মানুষের ঝোক ও ভালোবাসা দিন দিন বাড়ছে। এমনকি বাংলাদেশেও আইন পেশাই হবে অন্যতম সম্মানিত এবং অন্যতম জনপ্রিয় পেশা, আর এর প্রতিফলন শুধু সময়ের ব্যাপার। যারা আইনে ভর্তি হয়েছেন অথবা ভর্তি হয়ে ইতস্তত বোধ করছেন, আশা করি কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরে পাবেন।