অ্যারোনটিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্ল্ড হাইপেইড জব

Aeronautical Engineering - World's Most Highly Paid Engineering Job! 


বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে একমাত্র MIST এবং Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman Aviation and Aerospace University (BSMRAAU) তেই Aeronautical Engineering বিভাগ আছে ।

অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে যারা কনফিউজড এবং মনে প্রচুর প্রশ্ন জমে আছে তাদের জন্য শুধুমাএ ‘FAQ about Aeronautical engineering’ - FAQ-frequently asked question বলতে যা বোঝায় মোটামুটি কমন কিছু প্রশ্ন যা সবার কাছ থেকেই যায়। অ্যারোনটিক্যাল নিয়ে পড়লেও সেই সব প্রশ্নের নিখুত,তথ্য ভিত্তিক উত্তর দেওয়ার জ্ঞান আমার নেই হয়তবা তবে যেহেতু মোটামুটি একবছর এর সাথে ছিলাম,কিছুটা হলেও তোমাদের চেয়ে বেশি জানি। আর বাকিটা গুগল করে,সিনিয়র ভাই থেকে শুরু করে কাছের বন্ধুর কাছ থেকে ইনফরমেশন নিয়ে খেটে- খুটে এইটা দাড়া করিয়েছি।

 আশা করি তোমাদের কাজে লাগবে,আর আমার এ Comment ও প্রশ্নে  আর ভাসবে না 😉

Aeronautical Engineering

" সাবজেক্ট পর্যালোচনা "

Q. অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং কি? কি শুধু এমআইএস্টি তেই আছে? এটা কি IEB Certified সোজা বাংলায় বিমান প্রকৌশল ?


Ans : মেকানিক্যাল সেক্টর এর একটা স্পেশিলাইজড সাবজেক্ট।বর্তমানে বিশ্বের প্রকৌশল জগত এর অন্যতম জনপ্রিয় একটা বিষয়!  বিমান প্রকৌশল এর জন্ম বেশিদিন না হলেও এর চ্যালেঞ্জ,ডিমান্ড আর উচ্চ সেলারির কারনে বর্তমান প্রকৌশল লাইনের ঢুকতে যাওয়া নবীন দের ক্রেজ সাবজেক্টে এ পরিণত হয়েছে এটি। অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি শুধুমাত্র MIST দেয় সারা বাংলাদেশে। এছাড়া CIC, ,AIB, College Of Aviation এর মত প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি গুলো অনার্স ডিগ্রি দেয় বাহিরের ইউনিভার্সিটি এর আন্ডারে। এর মধ্যে শুধু AIB এর সিভিল এভিয়েশন বাংলাদেশ এর স্বীকৃতি আছে। এসব ইউনিভার্সিটি এর খরচ MIST এর তুলনায় প্রায় ৩-৪ গুন।  IEB Certified নিয়ে যাদের মাথাব্যাথা তাদের জন্য বলতে চাই অ্যারো বর্তমানে আইইবি সার্টিফাইড।গত বছর অ্যারো আইইবি সার্টিফাইড হয়েছে।

Aeronautical Engineering

Q. অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ পড়ানো হয় টা কি?

Ans : Subject টি মূলত ২ ভাগে বিভক্ত। একটি Aerospace অপরটি Avionics । 
এই দুটি discipline নিয়ে সংক্ষেপে নিচে বর্ণনা করা হল : -

Aerospace: Aerospace Engineering এ বিমানের মেকানিক্যাল অংশ নিয়ে পড়ানো হয়। 
এই বিভাগের আলোচ্য বিষয়গুলো হল:

  • 1. Aerospace Propulsion
  • 2. Applied & High Speed Aerodynamics
  • 3. Aerospace Vehicle Design
  • 4. Rotorcraft Performance
  • 5. Weapons Engineering
  • 6. Aircraft Structural Design
  • 7. Aircraft Loading & Structural Analysis
  • 8. Space Engineering etc.
Aeronautical Engineering

অ্যারোনটিকাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয় পর্যালোচনা

Avionics: Avionics এ বিমানের ইলেক্ট্রিক্যাল অংশ পড়ানো হয়। এই বিভাগের আলোচ্য বিষয়গুলো হল:

  • 1. Avionics Engineering
  • 2. Radar Engineering
  • 3. Satellite Communication
  • 4. Optoelectronics
  • 5. Optical Fiber Communication
  • 6. Microwave engineering
  • 7. Aero-measurement & Instrumentation
  • 8. Guidance, Navigation & Control, etc.

অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে তুমি মেক্যানিকাল, ইলেক্ট্রিক্যাল সহ প্রায় সব ইঞ্জিনিয়ারিং এরই স্বাদ পাবে, কারন অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং “প্রায় সবকিছু” নিয়েই আলোচনা করে।

Aeronautical Engineering


Q. ভাই অনেকেই বলে “অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংদের চাকরি নাই”। এটা কি সত্যি?


Ans : চাকরীর কথা বলার আগে কিছু কথা বলি। কোন পাব্লিক ভার্সিটি তে কখন ও শুধু শুধু একটা ডিপার্টমেন্ট খোলা হয় না,কারন প্রত্যেকটা ডিপার্টমেন্ট খুলতে কোটি কোটি টাকা খরচ হয়।যখন বাজারে চাহিদা থাকে সে অনুযায়ী সিট সংখ্যার হিসাব করে ডিপার্টমেন্ট খোলা হয়।

এখন আসি তোমার প্রশ্নে , যদি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বলতে যাও, বিশ্বের অন্য দেশ গুলোর তুলনায়
তাহলে তাদের কথা আংশিক সত্যি।  কেননা কানাডা,আমেরিকা দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশে অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর চাকরীর বাজার কম- যেহেতু এখানে এয়ারলাইন্স কম(৪ টি) এবং
কোন মেনুফাকচারিং কোম্পানি নেই।

তবে এতে চিন্তায় ব্যাকুল হওয়ার কিছু নাই অথবা ভয় পাওয়ার কোন কারন নেই।কারন যে কয়টা এয়ারলাইন্স আছে,তা তোমার চাকরী পাওয়ার জন্য যথেষ্ট যদি যোগ্যতা থাকে। তারই প্রমান স্বরূপ আমাদের বড় ভাইয়েরা বিভিন্ন এয়ারলাইন্সে জব করছে ইতিমধ্যে।

Aeronautical Engineering

আর আরেকটা কথা মাথায় রেখ সারা বাংলাদেশ থেকে এই ৫০ জন এ শুধু অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিয়ার বের হছছে,তাই চাকরীর পাওয়ার সম্ভবতাও যথেষ্ট বেশি। এ ক্ষেত্রে আরেকটা মজার ব্যাপার হচ্ছে এখানে তোমার প্রতিদ্বন্দ্বী হবে তোমার এ ক্লাসমেট কারন বাংলাদেশে এ MIST ছাড়া আর কোথাও তো অ্যারো তে
ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি দেওয়াই হয় না! 

তবে মূলত অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর জবের মূল চাকরিক্ষেত্র বিদেশে। কারন তুমি সেখানে প্রকৃত
ইঞ্জিনিয়ারিং এর স্বাদ পাবে।আর বোয়িং-এয়ারবাস এসব কোম্পানিতে চাকরি করা প্রত্যেক  রোনটিক্যাল
ইঞ্জিনিয়ার এর স্বপ্ন।

ডিপার্টমেন্ট হেড থেকে পাওয়া রিসেন্ট পরিসংখ্যান হতে MIST থেকে বের হওয়া ৩টা ব্যাচ এর মধ্যে ৮০% এর বেশি এমপ্লয়েড।এর মধ্যে AE-3, AE-4 বের হয়েছে, নিশ্চয় কোথাও শুননি যে বের হও্যার একবছরের মধ্যে সবাই এমপ্লয়েড।

Aeronautical Engineering

Q. ভাই অ্যারো থেকে বাইরে স্কলারশিপ বা হাইয়ার স্টাডি করার সুযোগ কেমন?

Ans : আসলে বাইরে যাওয়ার ক্ষেএে তুমি কোন ডিপারমেন্ট থেকে যাচ্ছ তার থেকে বেশি ইম্পরট্যান্ট তুমি কিসের উপর হাইয়ার স্টাডি করতে যাচ্ছ । ইঞ্জিনিয়ারিং ক্ষেত্রে ঢুকার পর আরো ভালভাবে ব্যাপার
তা বুঝতে পারবা। তবে সত্যি বলতে হাইয়ার স্টাডি করতে অ্যারো থেকে বাইরে যাওয়ার রেকর্ড বর্তমানে খুবই ভাল।আমাদের ডিপার্টমেন্ট হেড এর তথ্যমতে, এ বছর সমগ্র Mist থেকে যতজন বাইরে যায়নি,শুধু অ্যারো থেকে তার থেকে বেশি স্টুডেন্ট হাইয়ার স্টাডি এর জন্য বাইরে গেছে । কিন্তু এসব পরিসংখ্যান এর কোন মূল্য নেই যদি নিজের উপর বিশ্বাস না থাকে। তোমার যোগ্যতা থাকলে তুমিও লক্ষ্যে পৌছাতে পারবে। 

Q. ভাই এবার আসল কথা বলেন,সেলারি কিরকম পাওয়া যায় ?

Ans : অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার বর্তমানে অন্যতম  World Most Highly Paid ইঞ্জিনিয়ারিং জব। এভিয়েশন উইক ২০১২ তে প্রকাশিত হয় –একজন অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার এর বার্ষিক গড় বেতন $71,859 - 6,090,425.35 বাংলাদেশ টাকা এবং এটি এন্ট্রি লেভেলে।
বোয়িং একজন অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার কে বার্ষিক $60,765-$151,769 = 5150150-12863214 বাংলাদেশ টাকা

Next Post Previous Post