International Business Subject আন্তর্জাতিক ব্যবসা

International Business Subject Review

International Business (আন্তর্জাতিক ব্যবসা) Subject review

Scope of international business

সভ্যতার সূচনা থেকেই মানুষ তার প্রয়োজন মেটানোর জন্য অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিষয়ের সঙ্গে সঙ্গে উদ্ভব করেছিল বিনিময় প্রথার। আর এরই ধারাবাহিকতায় সভ্যতা ও কালের পরিবর্তনের ফলে আজ সৃষ্টি হয়েছে বিশ্বায়নের। বিশ্ব এখন একটি গ্লোবাল ভিলেজ। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের ফলে সারা বিশ্বের সাথে মুহূর্তেই যোগাযোগ স্থাপন করা সম্ভব হচ্ছে এবং জাতীয় অর্থনৈতিক উন্নয়নে আন্তর্জাতিক নির্ভরশীলতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

বিশ্বের বর্ধিত জনসংখ্যার চাহিদা মেটানোর জন্য নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস একদেশ থেকে অন্য দেশে বেচা- কেনা বেড়ে চলছে। এরই ফলশ্রুতিতে আন্তর্জাতিক ব্যবসার বহু ক্ষেত্র তৈরী হয়েছে। আর এ বিশ্ববাণিজ্য প্রসারের জন্য প্রয়োজন পরিকল্পনা অনুযায়ী কিছু পদ্ধতির। এ পদ্ধতিগুলো জানতে এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে চাইলে পড়তে পারেন ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস।

আন্তর্জাতিক ব্যাবসায় বিষয়ে জ্ঞান ইন্টারনেট বিষয়ে জ্ঞান ইংরেজি ভাষার উপর দক্ষতা থাকতে হবে। আন্তর্জাতিক আইন আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও অর্থ বিষয়ে জ্ঞান থাকাটা জরুরি। এছাড়াও আন্তর্জাতিক মূল্যবোধ মেনে চলতে হবে। কেননা আপনার কটু আচরণ বা কথার মাধম্যে কারও মূল্যবোধে আঘাত লাগলে তৈরি হতে পারে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের টানাপোড়েন। এমনকি ভুলের অনেক বড় মাসূল শেষ পর্যন্ত গুনতে হতে পারে। সুতরাং পারস্পারিক মূল্যবোধ সম্পর্কে জানা- বুঝাটা ভাল থাকা জরুরি।

International business course :

কোথায় পড়বেনঃ

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে আপাতত শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের অধীনে এ বিষয়ে পড়ানো হয়। সময়ের প্রয়োজনেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এ কোর্সটি চালু করা হয় ২০০৭ সালে। এখানে ৪ বছর মেয়াদি বিবিএসহ এমবিএ এবং সান্ধ্যকালীন এমবিএ চালু আছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বিষয়ে ভর্তি হতে চাইলে 'গ' ইউনিট ও 'ঘ' ইউনিটের মাধ্যমে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে।

এছাড়াও দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে পড়তে পারেন। যেমন: ইন্ডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি, ব্রাক ইউনিভার্সিটি ইত্যাদি।

International business subject:

ইন্টারন্যাশনাল বিজনেসে সাধারনত যে বিষয়গুলো পড়ানো হয়-

  • প্রিন্সিপাল অব ম্যানেজমেন্ট,
  • প্রিন্সিপাল অব অ্যাকাউন্টিং,
  • বিজনেস ম্যাথমেটিকস,
  • কম্পিউটার অ্যাপ্লিকেশন ইন বিজনেস,
  • ফান্ডামেন্টাল অব ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস,
  • মাইক্রো ইকোনমিক, ম্যাক্রো ইকোনমিক,
  • প্রিন্সিপাল অব ফিন্যান্স,
  • প্রিন্সিপাল অব মার্কেটিং,
  • ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারপ্রেনারশিপ ডেভেলপমেন্ট,
  • ইন্টারন্যাশনাল রিস্ক ম্যানেজমেন্ট,
  • গ্লোবালাইজেশন অ্যান্ড বিজনেস,
  • অপারেশন ম্যানেজমেন্ট,
  • ই-বিজনেস,
  • ইন্টারন্যাশনাল ইনভেস্টমেন্ট,
  • ফরেন এক্সচেঞ্জ অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ব্যাংকিং
  • করপোরেট গভর্ন্যান্স বাংলাদেশ ইন ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস

BBA international business :

প্রত্যেক শিক্ষার্থীর লক্ষ্য থাকে লেখাপড়া শেষ করে একটি ভালো চাকরি করার। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে আমাদের দেশে বিষয়ভিত্তিক চাকরির চাহিদা খুব একটা না থাকলেও ইন্টারন্যাশনাল বিজনেসে পড়ে বসে থাকার সুযোগ নেই মোটেও। এ বিষয়ে পড়াশোনা শেষে ব্যাংক, বীমা, মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিসহ দেশে কিংবা বিদেশে কোথাও না কোথাও চাকরি পাবেন নিশ্চিত। এ জন্য আপনাকে আরেকটু বেশি উদ্যমী ও পরিশ্রমী হতে হবে।

বাংলাদেশের গার্মেন্ট শিল্পের অধিকাংশ কাঁচামাল বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয় এবং উৎপাদিত পণ্য চুক্তি অনুযায়ী বিভিন্ন দেশে রফতানি করা হয়। ফলে অন্যান্য দেশের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এ বাণিজ্যিক সম্পর্ক জানতে এবং অপর দেশের সঙ্গে গড়তে চাইলে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস পড়তেই হবে। এ বিষয়ে পড়াশোনা শেষে একজন শিক্ষার্থীর বসে থাকার কোনো সুযোগ নেই।বাণিজ্য সম্প্রসারণে একদেশের সাথে অন্য দেশের সীমানা চুক্তি হচ্ছে সহজ থেকে সহজতর। 

দেশে দেশে গড়ে উঠছে আন্তর্জাতিক ব্যবসায় সংস্থা। ব্যবসা প্রসার পাচ্ছে একদেশের প্রতিষ্ঠানের সাথে অন্য দেশের প্রতিষ্ঠানের। কাজের ক্ষেত্র সম্প্রসারিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক ব্যবসায়। সুতরাং বর্তমানের এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে আপনিও আন্তর্জাতিক ব্যবসায় নিজের ক্যারিয়ার গড়তে পারেন।

MBA in international business :

আন্তর্জাতিক ব্যবসা অফিসে চাকরি বিদেশের বড় বড় ব্যবসায় কোম্পানিগুলো প্রবাসী নিয়োগ দেয়া হয়ে থাকে। এই ক্ষেত্রগুলোতে আবেদনকারীদের মধ্যে আন্তর্জাতিক বিষয়ে পড়েছে এমন শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়া হয়ে থাকে। সরকারী খাতে চাকরি দূতাবাস, শিক্ষা, প্রশাসন, তথ্য প্রযুক্তি , আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিশেষজ্ঞ, আমদানি বিশেষজ্ঞ,আন্তর্জাতিক অর্থনীতিবিদ হিসেবে কাজ করার সুযোগ থাকে। 

International business administration :

আন্তর্জাতিক খণ্ডকালীন চাকরি সাংস্কৃতিক উপদেষ্টা, ব্যাবস্থাপনা পরিচালক, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, ব্যাংকিং, আইন ব্যাবসা, মিডিয়া, শিক্ষা বিভাগ আন্তর্জাতিক ব্যাবসা প্রতিষ্ঠায় বিভিন্ন দেশে ভিন্ন- ভিন্ন মানুষের সাথে কাজ করে। এই সব প্রতিষ্ঠান ভিন্ন ভিন্ন মেয়াদে জনবল নিয়োগ দিয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক ব্যাবসায় বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রীধারীদের চাহিদা আকাশ্চুম্বী। বাইরের প্রায় সবগুলো নামি দামী বিজনেস স্কুলে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস পড়াচ্ছে। বাইরে পড়ারও ভালো সুযোগ রয়েছে এই সাবজেক্ট এ।

Conlusion : সবশেষে যেটা বলব আপনি যদি ইন্টারন্যাশনাল বিজনেসের সাথে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারেন বিষয়টাকে উপভোগ করতে পারেন এর থেকে ভালো ক্যারিয়ার আর কি হতে পারে!

মোহাম্মদ রাজিব
অর্থনীতি বিভাগ
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
(সংগৃহীত)

Next Post Previous Post