Chemical Engineering Subject Review
বিজ্ঞানের আধুনিকতম বিষয়গুলোর মধ্যে একটি কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং। এই ক্ষেত্রটি প্রতি মুহূর্তেই আরও বিকশিত হচ্ছে আর যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন গবেষণা আর কাজের ক্ষেত্র।
Chemical Engineering - কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারের কাজ মূলত কি?
অনেকের ই একটি ভ্রান্ত ধারনা আছে যে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং আর কেমিস্ট্রি মোটামুটি একই ক্যাটাগরির। একজন কেমিস্ট এর মূল কাজ হল ল্যাবে। অন্যদিকে আমাদের কাজ হল প্রধানত ইন্ডাস্ট্রি গুলোতে। একজন রসায়নবিদ যেই প্রক্রিয়া ল্যাবের বিকারে ঘটান একজন ইঞ্জিনিয়ার সেই কাজকেই শিল্পক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রিত উপায়ে কেমিক্যাল প্ল্যান্টে প্রয়োগ করেন। কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং মূলত Physics, Chemistry, Life Science (biology, microbiology, biochemistry) এর সাথে ইঞ্জিনিয়ারিং এর সমন্বয় ঘটিয়ে অর্থনৈতিকভাবে সুবিধাজনক উপায়ে কাঁচামাল থেকে ব্যাবহারযোগ্য সামগ্রী তৈরির প্রক্রিয়া।
![Chemical Engineering Subject Review Chemical Engineering Subject Review](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgXJ0-C6Xr1GChSe_mZEJaa2I-gykkPHT6j78wKDhqA4KNQ6cz5U5RdFmIUFSGLiD5oFnV9nSbtIlejhNQWPTdUEmMRnemCOgHR_K3U7sXERnH5B7L6L2M8RS6OOmnyFJqUgBosIF3uNN0/w400-h246/0+%252810%2529.jpg)
আর দেশে এই বিষয়ে পড়াশোনার সুযোগ খুব অল্প কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ। যে কারণে প্রতি বছর কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর গ্র্যাজুয়েট সংখ্যা খুব বেশী থাকে না। এটা দেশের চাকরির বাজারে তোমার জন্য প্লাস পয়েন্ট হিসেবে গন্য হতে পারে।
মূলত সকল ধরণের শিল্প প্রতিষ্ঠানেই আমাদের চাহিদা। খাবার চিপস থেকে শুরু করে কম্পিউটারের মাইক্রোচিপ তৈরি হবে তোমার হাত দিয়েই। বড় বড় মিলস চলবে তোমার হাতে। তোমার হাতেই নিয়ন্ত্রিত হবে, তোমার উদ্ভাবিত পথেই উৎপাদনে যাবে কোটি কোটি টাকায় গড়া একটি প্রতিষ্ঠান। এত বড় চ্যালেঞ্জ নিতে তুমি তৈরি তো..
![Chemical Engineering Subject Review Chemical Engineering Subject Review](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEgXJ0-C6Xr1GChSe_mZEJaa2I-gykkPHT6j78wKDhqA4KNQ6cz5U5RdFmIUFSGLiD5oFnV9nSbtIlejhNQWPTdUEmMRnemCOgHR_K3U7sXERnH5B7L6L2M8RS6OOmnyFJqUgBosIF3uNN0/w400-h246/0+%252810%2529.jpg)
অনেকের ধারণা কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়িয়ারদের কাজ ল্যাবে। একজন ইঞ্জিনিয়ার এবং একজন কেমিস্ট এর মধ্যে পার্থক্য টা এখানেই।
প্রধান কাজগুলো হল :
- Design, manufacture and operating plants
- Development of new or adopted products
কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের কাজ মূলত ইন্ডাস্ট্রিগুলোতে। আধুনিক বিজ্ঞানের একটা বিশাল সেক্টর কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং।
পড়াশোনার সুযোগ যেমন বিশাল তেমন রয়েছে গবেষণার ও অনেক সুযোগ। এখানে পাবে Heat Transfer, Mass Transfer এর মত ইন্টারেস্টিং বিষয় সম্পর্কে জানার সুযোগ তেমনি পাবে সুবর্ণ এক ভবিষ্যতের হাতছানি। আর যদি ভাল না লাগে তবে দেখে নাও কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রগুলো। ইচ্ছে থাকলে তুমিও হয়ে যেতে পারো একজন Nuclear Engineer তৈরি করতে পারো পারমানবিক বোমা অথবা হতে পারো biomedical Engineer. গবেষণা করতে পারো জটিল জিনগত রোগ বা এইডস/ক্যান্সার/ ডায়াবেটিস নিয়ে। আবার চাইলে চলে যেতে পারো Pharmaceuticals এ বা টেক্সটাইল সেক্টরেও। এসবের সূচনা হবে কেমিক্যাল এর হাত ধরেই।
কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর বিস্তৃত ক্ষেত্র :
- Biochemical Engineering
- Biomedical Engineering
- Chemical Reactor Engineering
- Computational Fluid Dynamics
- Corrosion Engineering
- Electrochemistry
- Environmental Engineering
- Food and Nutition Science
- Metallurgy
- Mineral Processing
- Nanotechnology
- Neuclear Reprocessing
- Oil exploration
- Oil Refinery
- Pharmaceuticals
- Plastics, polymers
- Process contol, design, development
- Paper Technology
- Textile Engineering
- Water Technology
Chemical Engineering Subject Review
![](https://img.youtube.com/vi/eInE-IcU0Fk/hqdefault.jpg)
আর চাকরি?
যতদিন পৃথিবীতে শিল্প কারখানা থাকবে ততদিন তোমার চাহিদা থাকবেই। বাংলাদেশ শিল্পক্ষেত্রে দিনদিন যতই অগ্রসর হবে এর কাজের ক্ষেত্র ততই বিস্তৃত হবে। আর দেশের বাইরেও রয়েছে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারদের ব্যাপক চাহিদা। AlChE এক জরিপ অনুযায়ী ২০১১ সালে যুক্তরাষ্ট্রে একজন কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর গ্রাজুয়েট এর বার্ষিক বেতন $110000. পাশাপাশি দেশেও রয়েছে বিস্তৃত ক্ষেত্র। অনেক জায়গায় ই শোনা যায় দেশে নাকি চাকরি নাই।
তাহলে দেখে নাও তোমার ভবিষ্যতের চাকরির সুযোগগুলো
- সার কারখানা
- পেপার মিল
- সুগার মিল
- গ্লাস ও সিরামিক শিল্প
- পেইন্টস কারখানা
- ঔষধ শিল্প
- ফুড এন্ড বেভারেজ কোম্পানি
- টেক্সটাইল কোম্পানি
- কসমেটিকস কোম্পানি
- পেট্রোলিয়াম
- পারমাণবিক প্ল্যান্ট
- সিমেন্ট কারখানা
- তেল উত্তোলন ও পরিশোধন
- ট্যানারি শিল্প
- বীজ প্রক্রিয়াজাতকরণ ও সংরক্ষণ
আর দেশে এই বিষয়ে পড়াশোনার সুযোগ খুব অল্প কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় এর মধ্যেই সীমাবদ্ধ। যে কারণে প্রতি বছর কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর গ্র্যাজুয়েট সংখ্যা খুব বেশী থাকে না। এটা দেশের চাকরির বাজারে তোমার জন্য প্লাস পয়েন্ট হিসেবে গন্য হতে পারে।
মূলত সকল ধরণের শিল্প প্রতিষ্ঠানেই আমাদের চাহিদা। খাবার চিপস থেকে শুরু করে কম্পিউটারের মাইক্রোচিপ তৈরি হবে তোমার হাত দিয়েই। বড় বড় মিলস চলবে তোমার হাতে। তোমার হাতেই নিয়ন্ত্রিত হবে, তোমার উদ্ভাবিত পথেই উৎপাদনে যাবে কোটি কোটি টাকায় গড়া একটি প্রতিষ্ঠান। এত বড় চ্যালেঞ্জ নিতে তুমি তৈরি তো..